মারজান আহমেদ: ভাটেরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ বর্তমানে অস্বাভাবিক ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও অনেক পরিবারের হাতে এসে পৌঁছাচ্ছে অতিরিক্ত বিলের কপি। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে মানুষের ক্ষোভ, তেমনি আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন অসংখ্য পরিবার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা যথাযথভাবে রিডিং না নেওয়ায় হিসাবের গরমিলের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে তৈরি হচ্ছে ‘ভুতুড়ে বিল’। এর ফলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ বিল কমানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ছুটোছুটি করছেন, কেউ আবার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করছেন।
ভাটেরা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, তাদের গড় খরচের দ্বিগুণ বা তিনগুণ বিল এসেছে। একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমাদের মিটার রিডিং সব সময়ই কম আসে, কিন্তু গত দুই মাস ধরে বিল দ্বিগুণেরও বেশি এসেছে। আমরা অফিসে যাই, তারা বলে মিটার রিডিংয়ের ভুল হতে পারে। কিন্তু ততদিনে আমাদের বিল জমে যাচ্ছে।”
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। কেউ কেউ বিদ্যুৎ বিলের কারণে পরিবারের অন্যান্য খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন, আবার কেউবা ধারকর্জ করে বিল পরিশোধ করছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি শুধু কয়েকটি পরিবারের সমস্যা নয়; পুরো ইউনিয়নের একটি বড় অংশ এ সমস্যার শিকার।
স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করে বলেন, “এই ভুতুড়ে বিল শুধু মানুষের কষ্ট বাড়াচ্ছে না, বরং বিদ্যুৎ খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও নষ্ট করছে।” তারা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ মিটার রিডিং নিশ্চিত করা, অতিরিক্ত বিলের তদন্ত করা এবং ভুক্তভোগীদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা জানান, ভাটেরা ইউনিয়নের সমস্যাটি তারা অবগত আছেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।