![]() |
| আবরার ফাহাদ |
নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৯ সালের এই দিনে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিজ কক্ষে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল আবরারকে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে তার রুমে ডেকে নিয়ে নির্যাতন চালায় বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাদের অভিযোগ ছিল, আবরার ফেসবুকে ভারত-বিরোধী একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছিলেন, যা তাদের মতে রাষ্ট্রবিরোধী। পরদিন সকালে আবরারের লাশ উদ্ধার হয় তার রুম থেকে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ আবরার হত্যার মামলার রায় ঘোষণা করে। মোট ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
তবে, রায় ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। এমনকি, কয়েকজন আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন, যার কারণে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, "আজও আমাদের ঘরে আবরারের শূন্যতা অনুভূত হয়। আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই।" তিনি আরও বলেন, "আবরার হত্যার পর থেকে আমরা শুধু অপেক্ষা করছি, কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া এত ধীর গতিতে চলছে যে, কখনও কখনও মনে হয় ন্যায়বিচার পাওয়া আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।"
শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষও এই বিচারহীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, "আবরার হত্যার পর আমরা প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু বিচারহীনতা আমাদের হতাশ করেছে।"
আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার, সহপাঠী ও সাধারণ মানুষ আবারও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করেন, উচ্চ আদালত দ্রুত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবে এবং আবরারের আত্মার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

