“কত আদরের মাইয়া আমার। কত যত্ন কইরা মানুষ করছি। হেই মাইয়া আমার আগুনে পুইড়া মরলো”— ঢামেক মর্গের সামনে আহাজারি করছিলেন রাজিয়া সুলতানার বাবা মোহাম্মদ সুলতান।
নিউজ ডেস্ক: ঢাকার মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো ১৬ জন পোশাক শ্রমিকের একজন রাজিয়া, আরেকজন তার স্বামী মোহাম্মদ জয়।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে দু’জনই ওই গার্মেন্টসে যোগ দিয়েছিলেন— জয় মেশিন অপারেটর, রাজিয়া সহকারী অপারেটর হিসেবে।
নতুন সংসার, নতুন কাজ— ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। কিন্তু সেই স্বপ্ন শেষ হলো আগুনের লেলিহান শিখায়।
আগুন লাগার সময় রাজিয়া শেষবার ফোন করেছিলেন তার বাবাকে—
“আব্বা, আগুন লাগছে... আমরা ভিতরে আটকা পড়ছি... গেটে তালা মারা…”
এরপর ফোন কেটে যায়, আর কখনো শোনা যায়নি মেয়ের কণ্ঠ।
পুরো রাত ঘুরেছেন বাবা-মা— কখনো গার্মেন্টসের সামনে, কখনো ঢাকা মেডিকেলে।
অবশেষে বুধবার দুপুরে জানতে পারেন, জয় ও রাজিয়া— দু’জনের দেহই মর্গে।
এক সপ্তাহের সংসার, একসাথে শুরু করা কর্মজীবন— শেষ হলো একসাথে, আগুনের লেলিহান পরিণতিতে।

