![]() |
সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রংপুরে এবং উজানে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। |
ঢাকা প্রতিনিধিঃ-
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ আর সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের নয়টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সাময়িক প্লাবনের ঝুঁকিতে থাকা নয়টি জেলা হলো— রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ফেনী।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে রোববার কেন্দ্রের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ভারতের উত্তর তেলেঙ্গানা ও সংলগ্ন অঞ্চলে স্থল লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে এবং উজানে ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টা (বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) এই চার বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহী, ঢাকা এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারতের তিনটি রাজ্য ছাড়াও মেঘালয়, সিকিম ও বিহারে বিচ্ছিন্নভাবে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে রংপুর বিভাগের দুধকুমার ও তিস্তাসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে, ধরলা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। এসব নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।
এ সময়ে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে, সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।
এ সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার এসব নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগের সাঙ্গু, মাতামুহুরী, মুহুরী, ফেনী ও হালদা নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে গোমতী ও সেলোনিয়া নদীর পানি কমেছে। এসব নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে।
এ সময়ে মুহুরী, সেলোনিয়া, ফেনী ও হালদা নদ-নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার এসব নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি আগামী পাঁচ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।