![]() |
কুলাউড়া জংশন |
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্টেশনের শৌচাগারের অবস্থা এতটাই নাজুক যে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। ভেতরে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নেই, বদ্ধ ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে যাত্রীদের প্রবেশ করাই কষ্টকর। দেয়ালে লেগে থাকা ময়লা ও ফাঙ্গাস, মেঝেতে জমে থাকা কাদা ও বর্জ্য প্রমাণ করে দীর্ঘদিন ধরে কোনো রকম পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
যাত্রীদের অভিযোগ
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিদিন হাজারো মানুষ কুলাউড়া রেলস্টেশনে আসা-যাওয়া করলেও কর্তৃপক্ষ শৌচাগার ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিচ্ছে না। বিশেষ করে নারী ও বয়স্ক যাত্রীদের জন্য এ ধরনের পরিবেশ ভয়াবহ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "নেতা-নেত্রী আসলেই নানা প্রতিশ্রুতি শোনা যায়। কিন্তু সাধারণ যাত্রীরা প্রতিদিন এই দুর্ভোগ সহ্য করছে। এত বড় স্টেশনে শৌচাগারের এমন বেহাল অবস্থা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোর ভাষ্যমতে, কুলাউড়া উপজেলায় উন্নয়নের নানা দিক আলোচিত হলেও রেলস্টেশনের শৌচাগারের মতো মৌলিক সেবা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয় এবং এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও কম নয়। কিন্তু যাত্রীসেবার অন্যতম মৌলিক দিক শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণে কেন এ ধরনের অবহেলা—তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
যাত্রীদের দাবি
যাত্রী ও সাধারণ মানুষ অবিলম্বে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেছেন, নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা এবং নষ্ট অবকাঠামো সংস্কার জরুরি। অন্যথায় প্রতিদিন যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।