গত ১৮ সেপ্টেম্বর,২০১৪ বুধবার, কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় জামায়াতের অর্থ সম্পাদক আছাদ উদ্দিনসহ মোট চারজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনাটি ঘটেছে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ কর্তৃক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে।
হামলার বিবরণ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাটেরা ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ভাটেরা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ নামক স্থানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা হেলন ডাকাতের ভাই সন্ত্রাসী বদরুল ও তার সহযোগী ফাহাদ-এর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের গাড়ির গতিরোধ করে হামলা চালায়। হামলায় আছাদ উদ্দিন ছাড়াও শিবির নেতা সাইদ আহমদ মাছুম এবং নাসির উল্লাহ গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে আছাদ উদ্দিনকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ঘটনার পর কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। সাবেক মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ তাজুল ইসলাম জানান, তারা একাধিকবার থানায় মামলা করার জন্য যোগাযোগ করলেও থানা কর্তৃপক্ষ "উপরের নিষেধ আছে" বলে মামলা গ্রহণ করেনি। তবে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কমলকুমার ধর এ ব্যাপারে বলেছেন যে, মামলা নয়, একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে।
বিচার দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ভাটেরা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মানুষ হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, হামলাকারী বদরুলের বিরুদ্ধে এর আগেও ভাটেরায় মোটরসাইকেল চুরি এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ঘটানোর অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, হামলাকারীরা তালমীজে ইসলামিয়ার কর্মী এবং ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছেন। তাদের মতে, অভিযুক্ত আবুল ৫ আগস্টের ঘটনায়ও ছাত্রদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
