বিনোদন ডেস্ক | ভিক্টরি টাইমস ৭১
ভালোবাসা—একটি সহজ অথচ জটিল অনুভূতি। কখনও অজান্তে, আবার কখনও জেনেশুনেই মানুষ প্রেমে পড়ে। কিন্তু সব ভালোবাসার গল্পের শেষ সুখের হয় না। সময়ের ব্যবধানে সম্পর্কের ইতি টানতে হয় অনেককেই। তবুও, সেই মানুষটির প্রতি কৌতূহল বা মমতা হারায় না পুরোপুরি।
তেমনই এক উপলক্ষ আজ—‘টেক্সট ইওর এক্স ডে’ বা ‘প্রাক্তনকে মেসেজ পাঠানোর দিন’।
প্রতি বছরের ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে উদযাপিত হয় এই বিশেষ দিনটি। ধারণা করা হয়, ১৯৮৮ সাল থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। সে সময় চিঠিপত্রই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম।
পরে, ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর ব্রিটিশ প্রকৌশলী নিল প্যাপওয়ার্থ ইতিহাস সৃষ্টি করেন বিশ্বের প্রথম এসএমএস পাঠিয়ে। সেই থেকেই মানুষের যোগাযোগের ধরন পাল্টে যায়, আর প্রাক্তনদের খোঁজ নেওয়াও হয়ে ওঠে সহজ।
দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, পুরনো সম্পর্কের প্রতি সৌজন্য প্রকাশ—যেখানে কোনো অভিযোগ নয়, বরং কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা প্রকাশ পায়।
এ দিনে কেউ প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকাকে, কেউ পুরনো বন্ধু বা জীবনসঙ্গীকে একবারের জন্য হলেও মেসেজ পাঠায়।
কেমন হতে পারে সেই বার্তা
এ দিনে চাইলে আপনি একটি সহজ বার্তায় খোঁজ নিতে পারেন—
> “তুমি ভালো আছো তো?”
অথবা,
“তুমি একসময় আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলে, ভালো থেকো।”
অতীতের মনোমালিন্য ভুলে সৌহার্দ্যপূর্ণ যোগাযোগের সূচনা করাই এই দিবসের আসল বার্তা।
যদিও দিবসটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু, তবে বিশ্বায়নের এই যুগে আবেগের কোনো ভৌগোলিক সীমা নেই। চাইলে আপনিও আজকের দিনটিকে কাজে লাগাতে পারেন—প্রাক্তনকে জানাতে পারেন একটিমাত্র বার্তা, যেখানে থাকবে সম্মান ও শুভেচ্ছা।
বার্তায় ঝরে পড়ুক ভদ্রতা, নয় অভিযোগ — এটাই “টেক্সট ইওর এক্স ডে”-এর মর্মবাণী।

