নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় দেখা দিয়েছে এক হতাশাজনক চিত্র— উপজেলায় পাশের তুলনায় ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
উপজেলার ১০টি কলেজের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই ৬০ শতাংশ পাসের হার অতিক্রম করতে পারেনি। অর্থাৎ, প্রতি দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনেরও বেশি পরীক্ষায় অকৃতকার্য।
রেজাল্ট শিট অনুযায়ী,
ইয়ারপুর তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজে ৩৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৩ জন পাস করেছে; পাসের হার ৫১.২৩% — উপজেলায় সর্বোচ্চ।
কুলাউড়া সরকারি কলেজে পাসের হার ৫২.৩৩%, তবে মোট পরীক্ষার্থীর অর্ধেকেরও কম ভালো ফল করেছে।
বেশিরভাগ কলেজের পাসের হার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সবচেয়ে নিচে রয়েছে আলী আমজদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যেখানে ৫৫ জনের মধ্যে মাত্র ২৬ জন পাস করেছে — পাসের হার মাত্র ৪৭.২৭%।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি — পাসের হার ০%
সামগ্রিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কুলাউড়া উপজেলার ১০টি কলেজ থেকে মোট ১,৫১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে মাত্র ৭৩৭ জন, ফেল করেছে ৭৭৩ জন — অর্থাৎ ফেল শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাশের চেয়েও বেশি।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই ফলাফল স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।
ইয়ারপুর তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ গিয়াস উদ্দিন বলেন,
> “আমরা কলেজে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিয়েছি। মেয়েরা ভালো করেছে, তবে উপজেলায় সার্বিক ফলাফল উদ্বেগজনক। শিক্ষার মানোন্নয়নে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।”
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, অনলাইন শিক্ষার ঘাটতি ও প্রস্তুতির অভাব এবারের খারাপ ফলাফলের অন্যতম কারণ।

