ওয়াশিংটন | ভিক্টরি টাইমস ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সিবিএস-এর “৬০ মিনিটস” সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এত পরমাণু অস্ত্র রয়েছে যে তা পৃথিবীকে “১৫০ বার” ধ্বংস করার মতো শক্তি ধারণ করে। তিনি আরও জানান, প্রতিরক্ষা বিভাগকে দ্রুত পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ও চীনসহ অন্যান্য দেশ নিয়মিত পরমাণু পরীক্ষা চালাচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রও নিরাপত্তার স্বার্থে পরীক্ষামূলক যাচাই চালিয়ে যাওয়া উচিত। তাঁর ভাষায়—
> “অস্ত্র বানিয়ে পরীক্ষা না করলে কীভাবে জানা যাবে এটি কার্যকর কিনা?”
তবে তাঁর এই ঘোষণার পর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে অপেক্ষাকৃত সতর্ক প্রতিক্রিয়া এসেছে। মার্কিন এনার্জি বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে কোনো বাস্তব বিস্ফোরক (explosive) পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা নেই। চলমান পরীক্ষাগুলো “সাব-ক্রিটিকাল” বা সিস্টেম যাচাইধর্মী, অর্থাৎ পরমাণু ডিটোনেশন ছাড়াই অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করা হয়।
বিশ্ব কূটনীতিতে ট্রাম্পের মন্তব্য নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক পরীক্ষানিষেধ সংস্থা CTBTO ও অস্ত্রনিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, বিস্ফোরক পারমাণবিক পরীক্ষা আবার শুরু হলে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টাকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ভূগর্ভস্থ পরমাণু বিস্ফোরক পরীক্ষা চালায়। এরপর থেকে দেশটি কম্পিউটার সিমুলেশন, সাব-ক্রিটিকাল পরীক্ষা এবং স্টকপাইল স্টিওয়ার্ডশিপ প্রোগ্রাম-এর মাধ্যমে অস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা বজায় রেখেছে। ফলে পূর্ণাঙ্গ বিস্ফোরক পরীক্ষায় ফিরে যাওয়া সহজ নয়; এর জন্য প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি, কংগ্রেসের অনুমোদন এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয় প্রয়োজন।

