![]() |
ছবি - ফেসবুক |
নিউজ ডেস্ক : “হায় আল্লাহ, আমি যদি মাছ হতে পারতাম! এই নদীতে মাছ হয়ে ঘুরে বেড়াতাম”— এমন আবেগঘন অভিব্যক্তি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, লেখক ও বিশ্লেষক আসিফ নজরুল। তার এই স্বতঃস্ফূর্ত উচ্চারণ মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, যেখানে শুরু হয়েছে আলোচনার ঝড়।
নদী আর মানুষের অন্তর্গত টান
বাংলাদেশের সঙ্গে নদীর সম্পর্ক চিরন্তন। শত শত নদী শুধু ভূপ্রকৃতি নয়, মানুষের জীবনযাপন, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শৈশবের কল্পনায় অনেকেই নিজেকে মাছ ভেবে জলের বুকে খেলা করার স্বপ্ন দেখেছেন। সেই শৈশবের কল্পনাই যেন ফিরে এল আসিফ নজরুলের কথায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
তার এই উক্তি ঘিরে ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে ভেসে উঠেছে নানান মন্তব্য। কেউ লিখেছেন—
“নদীর বুকে মাছ হয়ে ভেসে বেড়ানো মানে দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনের আকাঙ্ক্ষা।”
অন্য কেউ বলেছেন—
“আসলে এটি পরিবেশ রক্ষার এক প্রতীকী ডাক। নদীকে আগলে রাখার আহ্বান।”
পরিবেশবিদদের বিশ্লেষণ
পরিবেশবিদদের মতে, আসিফ নজরুলের এই বক্তব্য নিছক আবেগ নয়; এটি আমাদের নদী রক্ষার প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন। বর্তমানে দেশের অনেক নদী দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে হারাচ্ছে অস্তিত্ব। একজন নদী গবেষক বলেন—
“নদী শুধু জলরাশি নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর অনুভূতির অংশ। নদীকে বাঁচাতে না পারলে প্রকৃতিও বাঁচবে না।”
প্রকৃতির কাছে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা
আধুনিক নগরজীবনের কোলাহল, রাজনীতির অস্থিরতা কিংবা দমবন্ধ পরিবেশে থেকেও মানুষ প্রকৃতির কোলে ফিরে যেতে চায়। নদীর বুকে মাছ হয়ে ভেসে বেড়ানোর সেই কল্পনা প্রমাণ করে— প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ হারালে মানুষ কখনো পূর্ণ শান্তি খুঁজে পায় না।
উপসংহার
আসিফ নজরুলের সংক্ষিপ্ত সেই উক্তি তাই কেবল মুহূর্তের অনুভূতি নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে মানুষের অন্তরের স্বপ্ন, নদীর প্রতি ভালোবাসা এবং প্রকৃতির সঙ্গে চিরন্তন টানের প্রতীক।