![]() |
| ফজলুল হক খান সাহেদ |
নিজস্ব প্রতিবেদক | ভিক্টরি টাইমস ৭১
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।
স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা ও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
চায়ের দোকান থেকে ফেসবুক—সবখানেই এখন এক সুর,
> “কুলাউড়ার এমপি হিসেবে দেখতে চাই মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদকে।”
দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা এই জনপ্রিয় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রতি মানুষের ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে।
সমাজসেবক, আলেম, এবং সহজ-সরল নেতৃত্বগুণের কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন “জনতার প্রিয় নেতা”।
পরপর দুইবার কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তাঁর নম্র ব্যবহার, সততা ও সেবামূলক মনোভাব তাঁকে কুলাউড়ার মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী আসন দিয়েছে।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ তাঁকে “জনতার নেতা” বলেই ডাকছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমর্থনের ঢেউ।
“জনগণের প্রার্থী ফজলুল হক খান সাহেদ চাই,”
“কুলাউড়ার গর্ব ফজলুল হক খান সাহেদ”—
এমন শত শত পোস্ট, ভিডিও ও ব্যানারে ভরে উঠেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো।
স্থানীয় তরুণ সমাজ বলছে,
> “আমরা এমন একজন এমপি চাই, যিনি সবার কাছে সহজ, যিনি কুলাউড়ার প্রকৃত প্রতিনিধি হয়ে কাজ করবেন — সেই মানুষটি মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ।”
যদিও জনগণের আগ্রহ ও প্রত্যাশা স্পষ্ট,
তবে এখনো পর্যন্ত মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ অফিশিয়ালি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেননি।
তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে,
তিনি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) এলাকার একজন স্থানীয় ধর্মীয় নেতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
তিনি স্থানীয় আলেম সমাজের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত এবং জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন ধারাবাহিকভাবে।
২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন —
সেই নির্বাচনে তিনি আঞ্জুমানে আল ইসলাহ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে চমক দেখান।
প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৭,৫৫৯।
পূর্বেও (চেয়ারম্যান পদ শূন্য থাকার সময়) তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু এবং সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,
> “যদি মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করেন,
তবে মৌলভীবাজার-২ আসনে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে।”
মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ শুধু একজন রাজনীতিক নন—তিনি একজন সমাজসেবক, ধর্মীয় নেতা এবং সাধারণ মানুষের আশার প্রতীক।
জনগণের ভালোবাসায় তিনি ইতোমধ্যেই “কুলাউড়ার প্রিয় নেতা” হিসেবে পরিচিত।
এখন সবার অপেক্ষা—
তিনি কি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন?
এই প্রশ্নের উত্তরেই যেন নির্ভর করছে কুলাউড়ার রাজনীতির পরবর্তী অধ্যায়।

