আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ভিক্টরি টাইমস ৭১
নিউইয়র্ক সিটিতে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত মেয়র নির্বাচন। প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার আজ নগরীর পরবর্তী মেয়র নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোট দিচ্ছেন।
এই নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রধান আলোচনায় রয়েছেন— ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো, এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া।
সর্বশেষ রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকস জরিপ অনুযায়ী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রতি সমর্থন ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোটারের।
স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন, আর রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার সমর্থন রয়েছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটারের মধ্যে।
অর্থাৎ, কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৩ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন জোহরান মামদানি।
ভোটের ঠিক আগের রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানান।
এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন ভোটারদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
অন্যদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত শনিবার ফোনে জোহরান মামদানিকে সমর্থন জানান এবং নির্বাচনে জয়ী হলে পরামর্শক হিসেবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মাত্র ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকা (DSA)-এর সদস্য।
তিনি তরুণ ও প্রগতিশীল ভোটারদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছেন এমন কিছু নীতি প্রস্তাবের মাধ্যমে, যেমন—
সবার জন্য বিনামূল্যে শিশুযত্ন,
বিনামূল্যে গণপরিবহন,
এবং বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ।
এসব ইস্যু তাকে “নিউইয়র্কের প্রগতিশীল তরুণদের কণ্ঠস্বর” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তবে একটি বড় অংশের ভোটার অপরাধ ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়েই বেশি চিন্তিত।
নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ ভোটার আশঙ্কা করছেন—মামদানি মেয়র হলে শহরে অপরাধ বাড়তে পারে।
অপরদিকে, তরুণ ভোটারদের একটি বড় অংশ বলছেন, শহরে মানবিক কল্যাণনীতিই এখন সবচেয়ে জরুরি।
নিউইয়র্ক শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর নয়, এটি বিশ্ব অর্থনীতি ও সংস্কৃতিরও কেন্দ্রবিন্দু।
তাই এই নির্বাচন শুধু মেয়র বাছাই নয়—এটি আমেরিকার রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ভোটগ্রহণ শেষ হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টায়। প্রাথমিক ফলাফল আজ রাতেই ধাপে ধাপে ঘোষণা করা শুরু হবে।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ভোটের ব্যবধান কম হলেও জোহরান মামদানি এগিয়ে থেকেই প্রথম পর্যায়ের ফলাফলে এগিয়ে থাকতে পারেন।