![]() |
| ছবি: সংগৃহীত |
অনলাইন ডেস্ক | অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরের তৃতীয় মাসেও দেশের রপ্তানি আয়ে হ্রাসের ধারা অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার— যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৪৩ শতাংশ কম।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি কমেছিল ৪.৬১ শতাংশ এবং আগস্টে ২.৯৩ শতাংশ। তবে জুলাই মাসে ২৪.৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে (জুলাই–অক্টোবর) মোট প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২.২২ শতাংশে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিতেই সবচেয়ে বড় ধাক্কা
দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। কিন্তু টানা তিন মাস ধরে এই খাতের রপ্তানি কমছে। অক্টোবর মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩০২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের অক্টোবরের তুলনায় ৮.৩৯ শতাংশ কম।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ—বাংলাদেশের প্রধান দুটি বাজারেই পোশাক রপ্তানি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পর ক্রেতারা আগেই পোশাক মজুত করে রাখায় বর্তমানে আমদানি কমিয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপে মূল্যস্ফীতির প্রভাব ও চীনের বাজারে আগ্রাসন বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেছে।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। জুলাই–অক্টোবর সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৪১ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। প্রথম চার মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১.৭২ শতাংশ কম। কেবল অক্টোবর মাসেই এ খাতে রপ্তানি কমেছে ৯.৫৭ শতাংশ।
অক্টোবর মাসে মোট রপ্তানি আয়: ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার
রপ্তানি কমেছে: ৭.৪৩%
তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে: ৮.৩৯%
চার মাসে মোট প্রবৃদ্ধি: ২.২২%
চামড়া রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি: ১২%
কৃষি পণ্য রপ্তানি কমেছে: ১.৭২%
বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মূল্যস্ফীতি ও শুল্ক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি খাতে নীতিগত সহায়তা এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান এখন জরুরি হয়ে উঠেছে।
%20(1).jpg)
